স্টাফ রিপোর্টার :
দাগনভূঞায় ঘরে ঢুকে গৃহবধু হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে গৃহবধু শারমিনকে একই বাড়ীর সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বুকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন। কোন এক অজানা ভয়ে যেন কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নিহত শারমিনের মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আসামী করে দাগনভূঞা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে একই বাড়ির প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম তাঁর মেয়েকে ঘরে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করলেও কি কারনে গুলি করা হয়েছে তার কোন কারন তিনি উল্লেখ করেননি।
এদিকে (২৫ এপ্রিল) বুধবার দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে শারমিনের লাশের ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার বাবা সামছুল হকের নিকট হস্তান্তর ও বিকেলে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে সোনাগাজী ও দাগনভূঞায় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাউছার নয়নপুর গ্রামের গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও হত্যাকান্ডের বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
শারমিনের কলেজ পডুয়া ছোট বোন ফরিদা খাতুন জানান, জাহাঙ্গীর তাদের ঘরে ঢুকে তার বোনের পাশে বসে টিভি দেখছিলেন। ফরিদা ঘরের অন্য কক্ষে ছিলেন। গুলির শব্দ শুনে দ্রুত এগিয়ে এসে জাহাঙ্গীরের একহাতে পিস্তল ও অন্য হাতে তার বোনের থুতলি ধরা ছিল। ফরিদাকে দেখেই জাহাঙ্গীর পিস্তল উঁচিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় নিহত শারমিনের মা আলেয়া ঘরে ছিলেন না।
গতকাল শারমিন হত্যার ঘটনাটি জানার জন্য স্থানীয় সাংবাদিকরা ওই বাড়ি ও গ্রামে যায়। কিন্তু কোন এক অজানা ভয়ে যেন কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে বলেন, নিজের ঘরে স্ত্রী-পুত্রসহ টিভি না দেখে জাহাঙ্গীর শারমিনদের ঘরে টিভি দেখতে কেন গেলন ? তাছাড়া ওই পরিবারের অন্য কারো সাথে বা শারমিনের সাথে জাহাঙ্গীরের ঝগড়া বা বিরোধের কথাও কেউ জানে না। তা হলে হঠাৎ গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনা কেন?
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর এলাকায় একজন সক্রিয় যুবলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় নারী ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টা ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে এবং ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে শালিসে জরিমানাও করা হয়েছে। এলাকায় তাঁর একটি ডোকোরেটর দোকান রয়েছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ড মেম্বার পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গের সামনে কথা হয় শারমিনের বৃদ্ধ বাবা সামছুল হকের সাথে। তিনি জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যাকান্ডের আসল কারণ জানা যাবে।
দাগনভূঞায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার পর থেকে আসামী জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ করলেই হত্যার কারণ জানা যাবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”